খোঁড়ো এই ভূমিতল স্বতোঅবসরে
কোটি কোটি পল ক্ষণ নিমেষ ও ঘণ্টারাশি
যুগপৎ ধরা যেথা রক্তমাংসসমেত
জেনো সময় কখনো বাঁচে একা নয়
মিশে থাকে মণিমঞ্জুষা : সুদূর--
অমেষ অভিজ্ঞাস্রোত
প্রবল ভাঙন ঢেউ
অবদমনের যতো চরা
নিহিত অসূয়াকুটা
সুখাসুখ কাদা
দম্ভচূর্ণ
সম্ভব স্বপ্নকামনা ফেনা
তাড়িত আবেগবাষ্পকথা
চিদানন্দে নির্মিত এ তুরীয় আলোকপথ
মোহিত ললিত মনসিজ মনীষার ছায়া
প্রতিবেশী ধ্বনিবর্ণরাগে
ঘোর এ যাপনচিত্রমালা : অস্তিত্বের--
থরে থরে পোতা র’লো কুমারী কাগজে
সসতর্ক খুঁড়ে দেখো কখনো এ ভূমিতল
মমি উপত্যকা
Friday, February 1, 2008
হৃদগভীরের শিলালেখ
গুহাচিত্রিদের মাঝে ছিলাম আমি একসময়
তীরের ফলায় গাঢ় রঙের যোগান দিতে জীবিত ছিলাম
চকমকি পাথরের গায়ে যে অগ্নির দ্যুতি
সূচাগ্র চূড়ায় তার মিশেছিল সৃজন-উল্লাস
কস্তুরী মৃগের নেশায় যতটা হেঁটেছি পথ
ন্যূনতাই এঁকেছি দেয়ালে তার গুহায় গুহায়
আর ঘোর এসে যখন জাপটে ধরে পঞ্চেন্দ্রিয়
এবং ষষ্ঠসমেত সৃজনবিন্দুকে
তখন নারীর অধিকার মার খায় দিকে দিকে
যে-কারণে নারী আসে বেঁকেচুরে অসম্পূর্ণতায়
অথচ যায় না গ্রহণ করাও তাকে
প্রচুর গ্রহণ-অসমর্থ শুধু চি-চি
ফাঁকা কথার আধারে তত চিড়েও ভেজে না
কোথাও তখন দেখি উন্মাদনা নেই
কুসুম পালক নেই
রাতের নয়ন জুড়ে শ্রান্তঘুম দ্রুততর নামে
অতর্কিত এক অভীপ্সায় বেঁচে থাকা প্রলম্বিত হয়
তারই ছাপ মুদ্রিত গভীর গুহার দেশে
এতদিনে কতটা বা খুঁজে পেলে তার--
বেড়ে ওঠা গানের গভীর থেকে
স্বপ্ন-আল্পনাঘন অধীর যাপনের লীলায়িত রেখাবলি
সারে সারে পাথর মধুর করে মহীয়ান হয়--
আমার হৃদ্গভীরেও এর বেড়েছিল সহস্র শেকড়
তীরের ফলায় গাঢ় রঙের যোগান দিতে জীবিত ছিলাম
চকমকি পাথরের গায়ে যে অগ্নির দ্যুতি
সূচাগ্র চূড়ায় তার মিশেছিল সৃজন-উল্লাস
কস্তুরী মৃগের নেশায় যতটা হেঁটেছি পথ
ন্যূনতাই এঁকেছি দেয়ালে তার গুহায় গুহায়
আর ঘোর এসে যখন জাপটে ধরে পঞ্চেন্দ্রিয়
এবং ষষ্ঠসমেত সৃজনবিন্দুকে
তখন নারীর অধিকার মার খায় দিকে দিকে
যে-কারণে নারী আসে বেঁকেচুরে অসম্পূর্ণতায়
অথচ যায় না গ্রহণ করাও তাকে
প্রচুর গ্রহণ-অসমর্থ শুধু চি-চি
ফাঁকা কথার আধারে তত চিড়েও ভেজে না
কোথাও তখন দেখি উন্মাদনা নেই
কুসুম পালক নেই
রাতের নয়ন জুড়ে শ্রান্তঘুম দ্রুততর নামে
অতর্কিত এক অভীপ্সায় বেঁচে থাকা প্রলম্বিত হয়
তারই ছাপ মুদ্রিত গভীর গুহার দেশে
এতদিনে কতটা বা খুঁজে পেলে তার--
বেড়ে ওঠা গানের গভীর থেকে
স্বপ্ন-আল্পনাঘন অধীর যাপনের লীলায়িত রেখাবলি
সারে সারে পাথর মধুর করে মহীয়ান হয়--
আমার হৃদ্গভীরেও এর বেড়েছিল সহস্র শেকড়
নাব্যতার গল্প
তীরাভরণ শোভিত নাব্য কলস্বনা
উভদিকে বহন করছ এতসব চোখ
ইতিউতি তাকাবার অমেয় আগ্রহ আর
দূরচক্রবালে শুদ্ধ বীক্ষণ-কৌশল
যূথবদ্ধ অনঘ-প্রভায় আমরা ছিলাম মুগ্ধতর হাজার বছর
স্বকীয় অঢেল ছিল বিচ্ছুরিত আলো এই দূরধন্য বাতিঘরে
চিন্তন চর্চিত মেধা গড়েছিল দর্শনের মরমীয় অরূপ নগর
রাশি রাশি জ্ঞানপীঠ খুলে গিয়েছিল যথা উজ্জয়নীপুরে
জলপথে যারা এল উঞ্ছবৃত্তি সমভিব্যাহারে
রেখে গেল ভোগলিপ্সা-- গতি
আকরিক লোহা আর তার বস্তু-ব্যবহার
লুটে নিল আত্মার গন্ধে মোহিত স্বস্তিঅস্তি ফুল
চিত্তের বৈভব যত বনমুগ্ধতার
বহুপথ দূরে দূ...র পথে বেঁকে গেল ভারত-নাব্যতা
অসবর্ণ পলিফোনি বিষম মিশ্রণে
বিদিশা ও মোহনার ঘোলাবহজলে
শনৈঃ শনৈঃ অশ্বতর ধাবন-- শুধু একার্ণবের পানে...
উভদিকে বহন করছ এতসব চোখ
ইতিউতি তাকাবার অমেয় আগ্রহ আর
দূরচক্রবালে শুদ্ধ বীক্ষণ-কৌশল
যূথবদ্ধ অনঘ-প্রভায় আমরা ছিলাম মুগ্ধতর হাজার বছর
স্বকীয় অঢেল ছিল বিচ্ছুরিত আলো এই দূরধন্য বাতিঘরে
চিন্তন চর্চিত মেধা গড়েছিল দর্শনের মরমীয় অরূপ নগর
রাশি রাশি জ্ঞানপীঠ খুলে গিয়েছিল যথা উজ্জয়নীপুরে
জলপথে যারা এল উঞ্ছবৃত্তি সমভিব্যাহারে
রেখে গেল ভোগলিপ্সা-- গতি
আকরিক লোহা আর তার বস্তু-ব্যবহার
লুটে নিল আত্মার গন্ধে মোহিত স্বস্তিঅস্তি ফুল
চিত্তের বৈভব যত বনমুগ্ধতার
বহুপথ দূরে দূ...র পথে বেঁকে গেল ভারত-নাব্যতা
অসবর্ণ পলিফোনি বিষম মিশ্রণে
বিদিশা ও মোহনার ঘোলাবহজলে
শনৈঃ শনৈঃ অশ্বতর ধাবন-- শুধু একার্ণবের পানে...
ছন্নছাড়া কবিতা
মাথার ভেতরে এক জ্বলজ্যান্ত মরুভূমি নিয়ে আমি আফ্রিকা থেকে ক্রমে এশিয়া ইউরোপ হয়ে নিত্য ফিরে আসতে লেগেছি নিজগৃহে-- অধীর অশান্ত স্ত্রী আমাকে জানিয়েছে এটা ভয়ানক, এতে নাকি বালির প্রভাঁজে শুয়ে ক্যাকটাস গিরগিটি ও বিষাক্ত সাপখোপ সঙ্গী হতে পারে-- গত বছর তো আমি বাঁ’হাতে ঝুলিয়ে খোদ বঙ্গোপসাগর, পৌঁছে গিয়েছিলাম ঠিক শ্বশুরবাড়ি, সেবার বন্যায় ভেসে গিয়েছিল সব্বাই শ্বশুর মহলের-- এমনকি ও-বাড়ির পোষা বিড়ালিও, ভাতের থালায় হাত দিয়ে টের পেয়েছিলাম যে কী ভীষণ জলোরাজ্যে আমি সমর্পিত আজ, বিছানায় উঠে এসেছিল গর্জনশীল মোহনা-- জাপটে ধরা বিষখালির পাক দেয়া জলের বাহিনী
সাহারায় এবারের আমার যাওয়া প্রধানত শখবশে নয়-- এক ভোরে জেগে দেখি ধুধুতর সব, মাথা ও পকেট জুড়ে পাতা খাঁখাঁ শুষ্ক এক বালির বিছানা আর দু’পায়ে সতত-চলা চাকা লেগে আছে, যতদিকে যত ছিল প্রেম-ট্রেম ছিঁড়েখুঁড়ে পকেটে গুটিয়ে নিয়ে মুখ ধুয়ে শুরু হলো যাতায়াত, কেননা ভ্রমণে আমার দারুণ মনোটান ছিল-- যুবক স্বভাবে ঘোর ছন্নছাড়াপনা তদুপরি চাকা, সেই থেকে ঠিকানাবিহীন ঘুরে আমেরিকা শেষ হলে অতলান্ত পাড়ি দিয়ে সহসাই বাড়ি ফিরে আসি, নিজহাতে গুছাই বিছানা আর দুইজনে ক্লান্ত হয়ে সারারাত চিকচিক বালিময় মুখ গুঁজে থাকি--
স্ত্রী যদি জিজ্ঞাসে ফের-- বলব যে : পৃথিবী ও সুখাসুখ গোলাকার-- এই কথা বারেবারে প্রমাণ দিতেছি
সাহারায় এবারের আমার যাওয়া প্রধানত শখবশে নয়-- এক ভোরে জেগে দেখি ধুধুতর সব, মাথা ও পকেট জুড়ে পাতা খাঁখাঁ শুষ্ক এক বালির বিছানা আর দু’পায়ে সতত-চলা চাকা লেগে আছে, যতদিকে যত ছিল প্রেম-ট্রেম ছিঁড়েখুঁড়ে পকেটে গুটিয়ে নিয়ে মুখ ধুয়ে শুরু হলো যাতায়াত, কেননা ভ্রমণে আমার দারুণ মনোটান ছিল-- যুবক স্বভাবে ঘোর ছন্নছাড়াপনা তদুপরি চাকা, সেই থেকে ঠিকানাবিহীন ঘুরে আমেরিকা শেষ হলে অতলান্ত পাড়ি দিয়ে সহসাই বাড়ি ফিরে আসি, নিজহাতে গুছাই বিছানা আর দুইজনে ক্লান্ত হয়ে সারারাত চিকচিক বালিময় মুখ গুঁজে থাকি--
স্ত্রী যদি জিজ্ঞাসে ফের-- বলব যে : পৃথিবী ও সুখাসুখ গোলাকার-- এই কথা বারেবারে প্রমাণ দিতেছি
অপেক্ষাসুদূর
অপেক্ষাসুদূর এই গাছ
বহু শাখা পরিশাখা ধরে রেখাধ্বনি চলে গেছে দূরে
আবির বরণ যত আশা সব বেদনাবিধুর পাখি
সুরের শরীরখানি দুয়েন্দে জড়ানো ভেজা রোদনস্বভাবী
উদ্গীরিত বিজনমণ্ডলে-- কুহুতলে
উদেছিল অরুণার অমিত আঁচল
ঈশানে-নৈর্ঋতে না অতলে-আকাশে সে হেসেছিল
চূড়ার সমান ছিল যতেক বিনতিস্বর
বাতাসের প্রতি নাকে-- নাসারন্ধ্রে
ফুলিত-ফাঁপিত সব রূপের এসেন্স গেছে ফেলে
কে নিয়ে বসতে দেবে তেমন যোগানে-- যেখানে এ হিমালয়
স্রাবিছে অঢেল সুধা পুচ্ছ রাশি রাশি
কোথা এর স্থান হবে কোন অপনদে
সবুজপ্রবাহ জুড়ে এলোমেলো বিদিশারা কুয়াশা ছড়ায়
লোলচর্মসার আশঙ্খিপদ্মিনী যত মুহূর্তনিমেষকাল--
দাশবাবু আর তার বনলতা
পাখির দেউড় ঘেরা নীড়ের আরামশোভা ঢেলে যায়
মেখে যায় তন্ময় শুশ্রূষা
বাক্যের গভীরে যদি দেখি সবিশেষ-- বোধকরি
এখানেও সেইরূপ শান্তিরা রয়ে যেতে পারে...
যেথা রোদনরূপসী বসা সেখানেই মন খুঁজে পাশ
নিকষপাষাণ যেন-- এখানেই আছে ভাবি বিকেল প্রাণনাটুকু
লুকোছাপা হয়ে-- সকলের চোখে দিয়ে ধুলোছাই
আজ এই সহস্রাব্দ সময়ের মোহনায়
নবতার ঘোলা-ঢেউয়ে স্রোতে
একটা জীবন তবু পুড়ে গেল ক্ষুধাতুর দুপুরের দাহে
বহু শাখা পরিশাখা ধরে রেখাধ্বনি চলে গেছে দূরে
আবির বরণ যত আশা সব বেদনাবিধুর পাখি
সুরের শরীরখানি দুয়েন্দে জড়ানো ভেজা রোদনস্বভাবী
উদ্গীরিত বিজনমণ্ডলে-- কুহুতলে
উদেছিল অরুণার অমিত আঁচল
ঈশানে-নৈর্ঋতে না অতলে-আকাশে সে হেসেছিল
চূড়ার সমান ছিল যতেক বিনতিস্বর
বাতাসের প্রতি নাকে-- নাসারন্ধ্রে
ফুলিত-ফাঁপিত সব রূপের এসেন্স গেছে ফেলে
কে নিয়ে বসতে দেবে তেমন যোগানে-- যেখানে এ হিমালয়
স্রাবিছে অঢেল সুধা পুচ্ছ রাশি রাশি
কোথা এর স্থান হবে কোন অপনদে
সবুজপ্রবাহ জুড়ে এলোমেলো বিদিশারা কুয়াশা ছড়ায়
লোলচর্মসার আশঙ্খিপদ্মিনী যত মুহূর্তনিমেষকাল--
দাশবাবু আর তার বনলতা
পাখির দেউড় ঘেরা নীড়ের আরামশোভা ঢেলে যায়
মেখে যায় তন্ময় শুশ্রূষা
বাক্যের গভীরে যদি দেখি সবিশেষ-- বোধকরি
এখানেও সেইরূপ শান্তিরা রয়ে যেতে পারে...
যেথা রোদনরূপসী বসা সেখানেই মন খুঁজে পাশ
নিকষপাষাণ যেন-- এখানেই আছে ভাবি বিকেল প্রাণনাটুকু
লুকোছাপা হয়ে-- সকলের চোখে দিয়ে ধুলোছাই
আজ এই সহস্রাব্দ সময়ের মোহনায়
নবতার ঘোলা-ঢেউয়ে স্রোতে
একটা জীবন তবু পুড়ে গেল ক্ষুধাতুর দুপুরের দাহে
Subscribe to:
Posts (Atom)