ওকে খবর পাঠানো দরকার আমি পুকুরঘাটে ঠাডেঙ্গা ফুলের বিছানে
শুয়ে পড়ছি প্রিয় কবিতা থেকে এই গরমের দিনে
কে যাবে ফটিকজল মাছরাঙা ইস্টিকুটুম কিংবা কোকিল যাবে
মধ্যগ্রীষ্মেও যে গলা ফাটাচ্ছে অযথা বটগাছে আমগাছে
নাকি ফড়িংটা-- বরঙ ব্যাঙই যাক লাফিয়ে লাফিয়ে
ও লাফ খুব পছন্দ করে শৈশবে খেলে নি বলে
আহা গোবরাকানা বিরক্ত করছ কেন এত-- অযথা ঠুকরিও না তো
এটা কবিতা লেখার প্যাড ওটা চিঠির-- এসেছ
তালুতে বসো কিছু কাজের কথা হোক এই হাত পাতলাম--
একটা খবর যে পাঠাতে হয়
হয়ত প্রজাপতির মতো গুম হয়ে বসে আছে সে-- না বলে এসে গেছি
বলছি তো জাম-খেজুর পাকে নি এখনো ওদিকটা পরে যেও
চ্রি ই ই ই চ্রি হুইপ চিপ ক্রো ক্রো চিপহি ক্রোক চ্রি ই ই ই
ঠিক আছে না গেলে না যাবে যা খুশি করগে যাও
জানি তো কাজের কাজ তোমাদের দিয়ে হয় না কিছুই--
আচ্ছা মেটেঠোঁট ওই ছোট্ট পাখিটার কী নাম গো কানাকুয়া
চন্দ্রবিন্দুযোগে ‘সুইট সুইট’ গান গাইছে যে--
শরীরে তুলনায় যাই বলো ওর গানের গলাটা বড়ো বেমানান
পড়ো ঠাডেঙ্গা ফুল পড়ো-- পড়তে পড়তে আমাকে ঢেকে দাও
ফুলের কবরে মরি
কাঠঠোকরাই না হয় সুযোগে একবার গিয়ে খবরটা দি’ আসবে যে মরেছি
এবং বাতাসা গাছের একটা আম পড়েছে দারুণ কাঁচা
আর ভুলে গেছি আসল গপ্পটা শোনো
কাঠঠোকরাটা যেন মনে রাখে যে সে কাঠঠোকরাই-- মানুষঠোকরা নয়
Friday, February 1, 2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment