Friday, February 1, 2008
পথালাপ
বসন্ত’দা, খুব তো জারিজুরি দেখালে, এবার ফোটাও তো কুসুম কত পার, গেল সপ্তাহে সে আসবে বলেও আসে নি, কেমন চুতিয়া দেখ, আমিও বাপু খাপ ধরে আছি বেজির মতন, পরবর্তী যে তারিখ আছে আগামী সপ্তাহে, যদি আসে ও, গোক্ষুর কিংবা দাঁড়াশ যাই হোক এই বলে রাখলাম, ধরে বেঁধে এনে ওকে বিয়ের পাটিতে আমি বসাবই, তুমি দয়া করে শিমুলকে বলে রেখো ওইদিন খুব করে যেন ফোটে, কোকিলকে বোলো যেন ডাকে, প্রজাপতি যেন উড়ে, আর গুনগুন গায় যেন মক্ষিকারা, আমি দেখি, এই ধুলোটের দিনে খুব অসুবিধে হবে না যদ্দূর জানি পলাশকে খবর পাঠানো, ধুলো’দা হাওয়াযোগে ওইদিকে প্রত্যহ যাওয়া-আসা করে, আর পলাশ তো পশ্চিমেই থাকে নাকি নিমগাছটার পাশে, বলি বসন্ত’দা, তুমি তো জানই আমি বেকার জাতীয় প্রাণী, পকেটে পয়সা-টয়সা খুব একটা মানে ইয়ে মানে ভাড়াটাড়া ঝামেলা, নইলে আমিই যেতাম, বলি কী বাকি সব আত্মীয়স্বজন তোমার যারা আছে, ধর পারিজাত করবী অশোক নীলমণি গং, ওদের সকাশে কাউকে পাঠায়ো নিউজটা দিয়ে, আর যদি পার একখানি গণঘোষণা দিয়ে দিও অরণ্যে পর্বতে, ‘যত সব গাছ আছ বন্ধ্যা-টন্ধ্যা, পারলে ফোটায়ো ফুল’-- আমি দেখি, এই ফাঁকে আর সবকিছু গোছগাছ করি গে যাই আদাব
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment