Friday, February 1, 2008

এলেবেলে

চোখ ছিল জলেই নিবিড় এলেবেলে
কুমুদ মঞ্জিলে ভেজা অন্ধকার
বৈষাদিক শৃঙ্খলে বাজে হাওয়া
দূরত্বে মুখরিত দেখি ভয় আরও সংশয়

নূপুরের অপেক্ষিত ধ্বনি বাজে না বাজে না
স্বপ্নে ওড়ে ঘুঘু বাতাবি মূর্ছনা
সহসা প্রসঙ্গিত অস্থিবাস ক্ষতদেহ নালিঘাস
তোমার অলিতে লিখি গূঢ় ইতিহাস

প্রতিটা অকৃতকার্যতা একেকটা পরীক্ষা
গলিতে গলিতে গজা চারাগাছ
সে আলো পেরিয়ে যাব ছেঁড়াভাঙাসহ
সালকিয়া ভেসে ওঠে আভাসে ইঙ্গিতে
জানি না শুনি না কিছু সালকিয়া ভেসে ওঠে
বহিরঙ্গে জেগে ওঠে নগরেতিহাস
সালকিয়া ঘুরে গেলে কী জবাবি লিখে

ফোলা ফোলা ভাঙাজল নীরবে মেতেছে
কামিনী কাঞ্চন থাক চুলে ঢেউ
মনে ঢেউ হতে পারে আরেক পরীক্ষা
নৌকাডুবির সন্ধ্যায় ছিলে ঘাসের কিনারে
বাতাসে উত্তাল নদী রূপার ভাসান
কালো রাতে চারচোখ চারটে জোনাকি
ঘনজাল ঢেউ পড়ে হামলে
মরি গাঙ্গেয় দ্বীপে
দেখি উদ্ধারে আসে কি না বিষলক্ষা নারী

চোখের কিনারে মরি
দূরাড়াল ভেঙে পড়ে নিবিড় দৃষ্টিতে
মিথ্যা সমর্প্রমাণ
প্রেম কি নিত্য আহার
তারও বেশি তারও কম চাওয়ার পরিধি
অতি সূক্ষ্ম বাণী অমৃতম
শস্য সৌরভে সে কি থাকে

আকাঙ্ক্ষা শস্যে নিহিত
বছরের বায়না রাখি লিখে
কালশীতে চোখ হারায় কাব্যাবরণ
এত বেশি আন্ধা রাত্রিতে
হাড়গোড়ে আঁতকে ওঠো না ধুনী
খুলে খুলে এটা শিং কাঁটা এই
বাজাও ধমনি আঙুল
পালকের জলসহ স্বপ্নের হাঁস
এ দিঘিতে কাদা ঘুটে ডিম্ব ফলাক

জল চিনি কী যে নদীরে বলব ভাই
যা যবে দরকারি যে যবে তাপের সুরমা
তারে বলি জীবাঙ্কুরণ
কথামালার ওদিকে নেই চিকিৎসা বিশেষ
বুঝি থেকে যাব
মানুষ মন্ত্রণা মানে
মেলে দিলে জবাঘাটে আলোর পসর

কাকে শাখ বলি
সুধ্বনি কুধ্বনি বহু উড়ায়েছি গোলরাতে
কারে কে ঠোঁটে নেবে কেউ তা জানে না
কিসিমের বন্ধুমহলে কারে বলি সাথী
কে নেবে বুক পেতে মূর্ত স্খলন

No comments: