Friday, February 1, 2008

হৃদগভীরের শিলালেখ

গুহাচিত্রিদের মাঝে ছিলাম আমি একসময়
তীরের ফলায় গাঢ় রঙের যোগান দিতে জীবিত ছিলাম
চকমকি পাথরের গায়ে যে অগ্নির দ্যুতি
সূচাগ্র চূড়ায় তার মিশেছিল সৃজন-উল্লাস

কস্তুরী মৃগের নেশায় যতটা হেঁটেছি পথ
ন্যূনতাই এঁকেছি দেয়ালে তার গুহায় গুহায়
আর ঘোর এসে যখন জাপটে ধরে পঞ্চেন্দ্রিয়
এবং ষষ্ঠসমেত সৃজনবিন্দুকে
তখন নারীর অধিকার মার খায় দিকে দিকে
যে-কারণে নারী আসে বেঁকেচুরে অসম্পূর্ণতায়
অথচ যায় না গ্রহণ করাও তাকে
প্রচুর গ্রহণ-অসমর্থ শুধু চি-চি
ফাঁকা কথার আধারে তত চিড়েও ভেজে না

কোথাও তখন দেখি উন্মাদনা নেই
কুসুম পালক নেই
রাতের নয়ন জুড়ে শ্রান্তঘুম দ্রুততর নামে

অতর্কিত এক অভীপ্সায় বেঁচে থাকা প্রলম্বিত হয়
তারই ছাপ মুদ্রিত গভীর গুহার দেশে
এতদিনে কতটা বা খুঁজে পেলে তার--
বেড়ে ওঠা গানের গভীর থেকে
স্বপ্ন-আল্পনাঘন অধীর যাপনের লীলায়িত রেখাবলি
সারে সারে পাথর মধুর করে মহীয়ান হয়--
আমার হৃদ্গভীরেও এর বেড়েছিল সহস্র শেকড়