বিকেলের উপকণ্ঠে এসে যে-বেলায়
রাত্রির গভীর মাছি
তার অগ্রজ সন্ধ্যার নাকের চূড়ায় বসে
শুঁকে যায় সমাজেতিহাস আর
ক্রান্তির সময় ঘোড়ায় চড়ে
পলকে পাড়ি দেয়
হাজার বছর দীর্ঘ এক স্মরণ সংগীত
আরো এক
হাজার বছর ধরে পৃথিবীর নদীদের
যাবতীয় ছলাচ্ছল লিখে যেতে
আমিও তেমনি তার তীরপথ বেয়ে বেয়ে
দাঁড়িয়েছি ঘোরতর মোহনায়
আগামীর জলযান
কতটুকু ঘাতসহ হলে পরে
ডুববে না প্রবল স্রোতেও
পাঠ নিতে তড়িঘড়ি এই নৌবিদ্যার
স্মৃতিকোষে পৃথিবীর নদীদের
সমুদয় আবহাওয়া গচ্ছিত করি
জলের যে সাধারণ গতি-প্রকৃতি ও
খেপামো ডেপামো
এতটা বদলে যাবে
মানুষের অভিজ্ঞতা
এইকথা কোনোদিন জানতে পারে নি
আমরা নদীর শিশু
আমরাও বদলাব
অভিযোজনের রীতি মেনে-টেনে
প্রচণ্ড অথচ প্রেমময়
ত্বরিৎ অথচ অনধীর
রহস্যময় অথচ স্বচ্ছ এক রেখা বেয়ে
সুগ্রীব পাথরে বসে
পরে নেব বিনির্মিত আচরণবিধি
সংক্রান্তি দিনের সব গীতিকার অনুভাব
বাতাসের সংগ্রহে থেকে যায়-- থাকে
তা না হলে এত সুর ভিন্নতাবিস্তারী
কস্তুরী মৃগের ন্যায় নাভিদেশে
কী করে সে জমা করে রাখে
ঘ্রাণ দেয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে সব
--অভয়-উদ্যানে
এই এক প্রতিবেশী যে নিতিকল্যাণ
ভুলে গিয়ে
কখনো জলের সাথে যায় সন্ধিতে
তাই এ ক্রোধোন্মত্তকালে
ভালোবেসে তারে কিছু খড়কুটো ধারে দেব
উড়ায়ে উড়ায়ে সে সব নিরস্ত হবে
কেননা সে কৃতজ্ঞতা বোঝে
আমি যতদূর জানি
Friday, February 1, 2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment