এবারও শীত এসেছিল সর্বশক্তি নিয়ে গাছে গাছে পাতা ঝরানোর কাজ শেষ করে এখন সে যাবার উদ্রেক করছে হাঁটতে হাঁটতে উদ্যানে না ঢুকে গেলে শোন এ মৌল ঘটনাটা টেরতামই না বাউরি বাতাস
পাতাকুড়ানি বালিকারা মনে করিয়ে দিল গত শীতের ধ্বনি আমি যে ঝরাপাতার গান না শুনে গৃহে ফিরব না কাকের চিৎকারের চে’ বাতাসের চুমুর শব্দই এ ঘোষণা ছড়িয়ে দিয়েছে আলগোছে নগর প্রান্তরে তবু যাই বন্ধুরা বেজায় খেপিয়ে তুলেছে অফিসে অসম্মানী ফাঁকা গুলি হরতাল পথে পথে খেঁকিয়ে উঠছে দেখি কুকুরের মতো
বাতাসের মন্দিরে এত-যে মৃদঙ্গ বাজে পাখিদের গানার্ঘ্য এত জুটিবাঁধা মানুষের স্বপ্নগুলির কাছে একদিন খুব করে কেঁদেছিল হাসার দায়ে
পার্কে এসে টান দিয়ে ফুল ছিঁড়ে ফেলবার আমার কোনো অধিকার নেই বস্তুত তবু কেন যে ছিঁড়লাম দু’টো জামরুল ফুল পাতাসহ পাতাগুলো ফেলে দেই পরে নেংটো করে বুঝি মানুষের কাজ শুধু কৃত্রিমায়ণ
ছোট এনজিওর মতো বাজার সৃষ্টিতে আছে শিক্ষানবীশ বেশ্যাটি দেখে আমি তছনছ হয়ে যাই বালিকা বাধ্যার মতো চিৎকারি সতীচ্ছদ ছিন্ন হবার মতো তবু ঘুরেফিরে নিভৃতে ডেকে আনা কবিতার ছলাকলা আমি বুঝি না তার উরুর বাণিজ্য কবে শেষ হবে তা জানাই হলো না প্রিয়ঋতু এই শীতশেষ-বসন্তশুরুতে মানে মাঘে ও ফাল্গুনে আমাকে সে প্রেম প্রেম খেলা খেলে বেঁধে রেখে চলে যায়
ও আমার বারোমাসী প্রেম তুমি প্রবাসী নগর থেকে কতদূরে থাক বাকিমাস
Friday, February 1, 2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment