এমনকি কাকগুলিও নীরব হয়ে আছে এমনি স্তব্ধতা, চারপাশে এমনি দুপুর, ঘাসে ঘাসে ক্লান্তি, হা-পিত্যেশ ঘাম নুন আর প্রান্তর জুড়ে খাঁখাঁ সোনালি রোদ সূর্য ভেঙে গড়িয়ে পড়ছে অবিরাম...
সম্ভবত দাসপাড়া থেকে ম্যারাথন করে এল ঝোলাজিভ কুকুরদম্পতি, এদিকে, যেখানে এইমাত্র একটি মৃত শুকনো পাতাঝরার শব্দ বাজল, যেখানটায় গোলমতো ছায়া কুণ্ডলিত সেখানটায় বসল, শুলো, হাঁপালো এবং চাটল একে অন্যকে, কিছু কি বললও, যা আমরা বুঝতে পারি না এবং বুঝতে চাই না
কোনো কাজই নাকি নেই আমার, কবির বুঝি থাকতে নেই কখনো কোনো কাজ, অনেকে অবশ্য মনে করে লাগাতার অবসর, গরুগুলো এখন যেভাবে জাবর কাটছে শুয়ে শুয়ে একনিষ্ঠ, কবিরও কেবল জাবর কাটা ছাড়া কোনো দায় নেই, বরং কবিতাবিদ্বেষীদের এইসব কথা থাক, ওই যে, আকাশের দিক থেকে বিমানের ল্যান্ডিং করার মতো নেমে আসছে যে পালকটি, উড়ন্ত চিল যেটিকে বর্জন করেছে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়, সেদিকে এখন আমার মন টানছে, আর রাজ-কড়ুইয়ের যে বীজাধারটি হাওয়ায় ভেসে ভেসে ঠিক আমার হাতে এসে ঠেকেছে, যাতে চারজোড়া বীজ ছিল এবং এখন নেই, তাতে আমি ডুবে আছি, ভাবছি এই পালক ও বীজাধার, যে-দু’টো আমার আজকের সারাদিনের অর্জন, এবারের ঈদে পাঠিয়ে দেব কবির উপহার করে, প্রয়াত বাদশা সোলেমনের নামে
এই রে রে, সেরেছে বাতাস, ধুলো উড়ছে, আজকে ছুটি, ঢং... ঢং... ঢং...
Friday, February 1, 2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment